Wednesday, May 7, 2008

আমার স্বীকার করার কিছু নাই।।গিলেজ দেল্যুজ।।

আমার স্বীকার করার কিছু নাই
গিলেজ দেল্যুজ



প্রিয় মিশেল (কোরসেল),

তুমি খুবই আনন্দদায়ক, বুদ্ধিমান এবং খারাপ হওয়ার জায়গাটাতে খুবই আক্রোশপূর্ন। যদিও, তুমি এর চাইতে আরো ভালো করতে পারো . . . তুমি আমাকে যে চিঠিটা পাঠিয়েছো, সেটা অনেকসময় যোগ করে মানুষ যা বলে, অনেকসময় তুমি নিজে যা মনে করো আর এই দুইটা একসাথে মিশে প্রতিফলিত করে এক ধরণের বিজয়োল্লাস, যা আমার অনুমিত দুর্ভাগ্যকে বয়ে আনে। একদিক দিয়ে তুমি আমাকে বলছো যে, আমি আমার জীবনে, শিক্ষকতায়, রাজনীতিতে সবদিক দিয়ে কর্নারড হয়ে আছি, আমি একটা নোংরা হিট স্টারে পরিণত হয়েছি যে, যে কোন ভাবেই হোক এটা সবসময় থাকবে না এবং এই বাধাঁ-ধরা পথ থেকে আমি কখনোই বের হয়ে আসতে পারবো না। অন্যদিক দিয়ে তুমি বলছো যে, আমি সবসময় পিছনে পড়ে থাকি, যে আমি তোমার রক্ত চুষেছি এবং তোমার বিষগুলি থেকে নমুনা নিয়েছি। তুমি হচ্ছো সত্যিকারের পরীক্ষাগুলি করো, নায়ক আর আমি সাইডলাইনে বসে তোমাকে দেখছি আর তোমার সুবিধাগুলি নিচ্ছি। এটা একেবারেই এইরকম না, যেভাবে আমি এই ব্যাপারে অনুভব করি। আমি সিজোজদের ব্যাপারে, সত্য বা মিথ্যার ব্যাপারে এতটাই বিরক্ত হয়ে আছি যে আমি খুব আনন্দের সাথে মানসিক বৈকল্যে বির্বতিত করি। মানসিক বৈকল্যের জয় হোক! (
Vive la paranoia!) তুমি তোমার চিঠির মাধ্যমে আমার ভিতর কী ঢোকাতে চাও, যদি একটা ছোট্ট অসন্তুষ্টি না হয় (তুমি জানো, তুমি জানো, “স্বীকার করো”) এবং একটা খারাপ নীতিচেতনা (ধিক্কার তোমার প্রতি, তুমি পিছনে পড়ে যাচ্ছো . . .)। যদি তুমি আমাকে শুধু এইটাই বলতে চাও, তাহলে এটা তেমন একটা সমস্যার কথা না। তুমি তোমার বইয়ে যা খুঁজছো, তা হচ্ছে আমার প্রতি প্রতিশোধ। তোমার চিঠিটা একটা সমবেদনার ভানে পরিপূর্ণ এবং প্রতিহিংসার একটা আসল উচ্ছ্বাস . . .

অবশ্যই, হিতসাধনের ইচ্ছা তোমার শক্ত পয়েন্ট না। যখন আমি মানুষজনকে এবং বিষয়গুলিকে (অনেক বেশি না) ভালাবসতে এবং প্রশংসা করতে সক্ষম হই না, তখন আমার নিজেকে মনে হয় মৃত, মর্মান্তিকভাবে পরাজিত। কিন্তু তোমার ক্ষেত্রে মনে হয়, তুমি জন্মেছ খিটখিটে হয়ে, সমস্ত শিল্পই পরোক্ষ উল্লেখগুলিতে। “ আমি এইসবে ঢুকবো না . . . আমি আপনার উপর একটা বই লিখছি, কিন্তু আমি আপনাকে সেটা দেখবো . . .” সম্ভাব্য সমস্ত ব্যাখ্যাগুলি থেকে তুমি সাধারণভাবে বেছে নেবে সবচাইতে খারাপ এবং কুৎসিতটাকে। প্রথম উদাহারণ: আমি ফুকোকে ভালোবাসি এবং তার ভক্ত। আমি তার উপর একটা প্রবন্ধ লিখেছি। আর তিনিও, আমার উপর একটা লিখেছেন, যেটা থেকে তুমি একটা বাক্য উদ্ধৃতি দিয়েছ: “হয়ত একদিন এই শতাব্দীকে বলা হবে দেল্যুজিয়ান বলে।” তোমার মন্তব্য হচ্ছে: তারা একে অন্যকে ফুল পাঠায়। এটা মনে হচ্ছে যে, তুমি কখনোই বুঝতে পারবে না যে, ফুকোর প্রতি আমার প্রশংসাগুলি সত্যিকারের এবং ফুকোর বক্তব্যটা হচ্ছে একটা ঠাট্টা, আমাদেরকে যারা পছন্দ করে তারা তা শুনে হাসবে আর অন্যদেরকে তা উন্মত্ত করে তোলবে . . .

দ্বিতীয় উদাহারণ: আমার নখগুলি, যা খুব লম্বা আর অ-পরিচ্ছন্ন। তোমার চিঠির শেষদিকে তুমি বলেছো যে আমার শ্রমিকের অর্ন্তবাস (যা আসলে সত্যি নয়, আমি একটা কৃষকের অর্ন্তবাস পড়ি) মেরিলিন মনরোর ব্লাউজের আদলে তৈরী করা, আর আমার নখগুলি, গেটা গার্বো’র সানগ্লাসগুলির মতো। আর তুমি আমাকে প্লাবিত করেছো শ্লেষপূর্ণ, শয়তানি উপদেশে। যেহেতু তুমি আমার নখগুলির কথা অনেকবার বলেছো, আমি এখন বলতে চাই তারা আসলে কী। লোকজন আমাকে বলে যে, আমার মা এইগুলি কেটে দিতেন, আর এটা অডিপাস কমপ্লেক্স এবং নপুংসকতার (একটা অদ্ভুত ব্যাখ্যা, কিন্তু মনো-বিশ্লেষণ) সাথে সর্ম্পকিত। তারা আরো দেখেছেন যে, যদি তারা আমার আঙুলের দিকে দেখে থাকেন, তাহলে দেখে থাকবেন যে, তারা সাধারণ আঙুলের মতো নয়, আমি একটা কিছুকে স্পর্শ করতে পারি না, বিশেষ করে একটা কাপড়, আমার আঙুলগুলি দিয়ে, একটা তীব্র ব্যাথা ছাড়া, যার জন্য আমার প্রটেকশনের প্রয়োজন, যা আমার লম্বা নখগুলি আমাকে দেয় (একটা টেট্রালজিক্যাল এবং সিলেকটনোজিস্ট ব্যাখ্যা)। তারা আরো বলতে পারে এবং এটা সত্যি যে, আমি অশরীরী হবার স্বপ্ন দেখি নাই, কিন্তু অব্যক্ত হতে চেয়েছি এবং এই স্বপ্নটার ক্ষতিপূরণ আমি করেছি আমার নখগুলিকে বড় রেখে যা আমার পকেটে গুঁজে দিতে পারি, যাতে করে আর কোনকিছুই আমার কাছে এতোটা তীব্র মনে না হয় এর চাইতে যে সবাই এর দিকে তাকিয়ে আছে (একটা মনো-সামাজিক ব্যাখ্যা)। আর সব শেষে তারা বলতে পারে: “তুমি তোমার নখগুলিকে কামড়িয়ো না, কারণ এইগুলি তোমার, যদি তুমি নখগুলিকে ভালোবাসো। অন্য কারোটা খাও, এটা ধরে নিয়ে যে, তুমি চাও আর যদি তুমি পারো (একটা রাজনৈতিক ব্যাখ্যা, ডারিয়েন)। কিন্তু তোমাকে তো বেছে নিতে হবে, সবচেয়ে মানহানিকর ব্যাখ্যাটা: সে নিজেকে আলাদা করতে চায়, তার গেটা গার্বো অংশটার জন্য। যাই হোক, এটা কী আশ্চর্য না যে, আমার কোন বন্ধুরা আমার নখগুলিকে খেয়াল করে নাই, তারা এটাকে দেখেছে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হিসাবে, যা হঠাৎই রোপন করা হয়েছে কোন ঝড়ো বাতাসের থেকে, যা নিয়ে কেউই কথা বলার প্রয়োজন বোধ করে না?

তোমার প্রথম সমালোচনাটাতে ফিরে আসি; তুমি বলেছো এবং পুনরাবৃত্তি করেছো: আপনি ব্লকড এবং কর্নারড হয়ে গেছেন, *স্বীকার করুন*। এর্টনি জেনারেল, আমার স্বীকার করার কিছু নাই। যেহেতু আমার বিষয়টা হচ্ছে আমাকে নিয়ে একটা বইয়ের কথা - তুমিই একমাত্র যাকে এই বিষয়ে দায়ী করা যায় - আমি এখানে ব্যাখ্যা করতে চাই আমি যা লিখেছি , তাকে আমি কিভাবে দেখি। আমি এমন একটা প্রজন্মে অবস্থান করি, যা প্রজন্মগুলির মধ্যে শেষ, যারা কম বেশি দর্শনের ইতিহাসের সাথে জড়িত ছিল। দর্শনের ইতিহাস হচ্ছে ইতিহাসের একটা আবশ্যিক, দমনমূলক কর্ম, এটা হচ্ছে দর্শনের সবচেয়ে নিজস্ব অডিপাস। “সবসময় একই ব্যাপার, তুমি নিজের নামে একটা কিছু বলার সাহস করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি এটা বা ওটা পড়ছো, আর ওটার উপর এটা, আর এটার উপর ওটা।” আমার প্রজন্মের অনেকেই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারে নাই; কেউ কেউ করেছে নিজস্ব কার্যপ্রণালীগুলি এবং নতুন নিয়মগুলির মাধ্যমে, একটা নতুন স্বরের মাধ্যমে। আমি দীর্ঘসময় ধরে দর্শনের ইতিহাসের উপর কাজ করেছি, এই এবং এই বই পড়েছি এই এবং এই একজন লেখকের উপর। কিন্তু আমি এর ক্ষতিপূরণ করেছি বিভিন্নভাবে: প্রথমত, সেইসব লেখকদেরকে ভালোবাসা, যারা ঐ ইতিহাসের র‌্যাশনালিস্ট ধারার বিপরীতে ছিল। আমি লুক্রটিয়াস (
Lucretius), হিউম, স্পিনোজা এবং নিটশের মধ্যে একটা গোপন সংযোগ খুঁজে পেলাম যা অস্বীকৃতি, সমালোচনা, আনন্দের চাষ, অভ্যন্তরের ঘৃণা, শক্তিগুলির এবং সর্ম্পকগুলির বাহ্যিকতা, ক্ষমতার অভিযুক্তকরণ ইত্যাদির মধ্যে অবস্থান করে। অন্য যে কোন কিছুর চাইতে আমি যা পুনঃআস্বাদ করেছি তা হচ্ছে হেগেলিজম এবং দ্বান্দ্বিকতা। কান্টের উপর আমার বইটা ছিল অন্য রকম একটা কিছু। আমি এটা পছন্দ করি, আমি এটা লিখেছি একজন শত্র“র উপর একটা বই হিসাবে; আমি এটাতে দেখানোর চেষ্টা করেছি কিভাবে কান্ট পরিচালনা করেন, কী তার নির্মাণকৌশলগুলিকে তৈরী করে - যুক্তির হাইকোর্ট, ক্ষমতাগুলির পরিমিত ব্যবহার, আরো অনেক হাইপো-ক্রিটিক্যালদের সবার বশ্যতা, যা আমাদের উপর আরোপ করা হয় সংসদ সদস্যদের শিরোনাম হিসাবে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সেই সময়ে যা আমাকে সত্যিকার অর্থে বের হয়ে আসতে সাহায্য করেছে, তা হচ্ছে, দর্শনের ইতিহাসকে একটা প্যাঁচ খাওয়া প্রক্রিয়া হিসাবে দেখাটা অথবা একই জিনিসের অনেক পরিমাণ, একটা অনবদ্য পরিকল্পনাটা। আমি নিজেকে কল্পনা করবো পিছনের দিক থেকে একজন লেখকের দিকে যাত্রা, এবং তাকে শিশু বানানো, যে হয়তো তার নিজের মতো হবে, সন্দেহ নাই দানবীয় হবে। তার এই শিশু হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা, লেখকটাকে বলতে হবে, প্রতিক্রিয়াতে সবকিছুই, যা আমি তাকে দিয়ে বলাতে চাই। কিন্তু এই শিশুটা যে দানবীয় হবে এইটা একটা পূর্বশর্ত, কেননা এইটা সব ধরণের বিকেন্দ্রীকরণগুলি, পিছলানোগুলি, বিভাজনগুলি, গোপন প্রত্যাহারগুলির মধ্যে দিয়ে যায়, যা আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। বার্গসঁ এর উপর আমার বইটাকে আমি এই দিকের প্রতিনিধিত্বকারী বলে মনে করি। আর আজকে এখানে অনেক লোকজন আছেন যারা হাসেন আর আমাকে গালাগালি করেন এমনকি বার্গসঁ এর উপরও লেখার জন্যে। কারণ হয়তো তারা ইতিহাস সর্ম্পকে কিছুই জানতো না। তারা জানে না, বার্গসঁ এর উপর কতোটা ঘৃণা ছিল প্রথম দিকে, ফরাসী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে, এবং কিভাবে তিনি আর্কষণ করেছিলেন সব ধরণের পাগল এবং প্রান্তীয় মানুষদের, ফ্যাশনেবল হোক আর না হোক। এবং এটা তার কারণে হলো কি হলো না এর গুরুত্ব এখানে খুবই কম।

নিটশে, যাকে আমি দেরিতে পড়েছি, আমাকে বের করে নিয়ে এসেছে, এই সবকিছুর ভিতর থেকে। যে কারণে তার প্রতি এইরকম একটা আচরণ করা অসম্ভব। সে এমন একজন যে আপনার পিছনে স্ক্রু ঘোরাবে। সে আপনাকে এমন ন্যায়ভ্রষ্ট স্বাদ দিবে যা মার্কস বা ফ্রয়েডের কাছ থেকে আপনি পাবেন না: সবার তার নিজের নামে সহজ কিছু বলার বাসনা, প্রভাবগুলির মধ্যে দিয়ে কথা বলা, তীব্রতাগুলি, অভিজ্ঞতাগুলি, পরীক্ষাগুলি। একজনের নিজের নামে কোনকিছু বলা খুবই অদ্ভুত, এর জন্যে মোটেও না যে, যখন আমরা নিজেদেরকে দাস হিসাবে, ব্যক্তি হিসাবে অথবা বিষয় হিসাবে দেখি, যখন আমরা নিজেদের নাম দিয়ে জানি। অন্যদিক দিয়ে একজন ইনডিভিজুয়্যাল একটা সত্যিকারের আসল নাম অর্জন করে তার অ-ব্যক্তিকীকরণের সবচেয়ে কঠোর কার্যক্রমগুলির ফলাফলের মাধ্যমে, যখন সে নিজেকে আধিক্যগুলির প্রতি উন্মুক্ত করে, যা তাকে পরিব্যাপ্ত করে এবং তীব্রতাগুলি যা তার সমস্ত সত্তার ভিতর দিয়ে বয়ে যায়। এই নামটার তাৎক্ষণিক উপলদ্ধি এইরকম একটা নিবিড়ি আধ্যিকের যা অ-ব্যক্তিকীকরণের বিপরীত, যা নিয়ে আসে দর্শনের ইতিহাস, ভালোবাসার একটা অ-ব্যক্তিকীকরণ এবং যা আত্মসর্মপণের নয়। যে গভীরতা আমরা জানি না, আর আমাদের নিজস্ব অনুয়ন্নের গভীরতা, যেখান থেকে আমরা কথা বলি। আমরা হয়ে উঠি একটা অদ্ভুত ভাবগুলির একটা ঢিলা বান্ডিল, নামগুলি, প্রথম নামগুলি, আঙুলগুলি, জিনিসগুলি, পশুগুলি, অতি সূক্ষ ঘটনাগুলি: হিট স্টারদের বিপরীতে। এই তাৎক্ষণিক দিকনির্দেশনায় আমি দুইটা বই লিখতে শুরু করি: ডিফারেন্স অ্যান্ড রিপিটেশন এবং লজিক অফ সেন্স। আমি মনে করি না আমার কোন ইল্যুশন ছিল: তারা এখনো একটা একাডেমিক সংবেশনে পূর্ণ - তারা খুবই পরিশ্রমের - কিন্তু সেখানে এমনকিছু ছিল, যা আমি চেষ্টা করেছি ঝাঁকিয়ে তুলতে, নিজের ভেতরে চাঙ্গা করে তুলতে। আমি চেষ্টা করেছি লেখার সাথে একটা চুক্তি করতে একটা নিরন্তর পরিবর্তন পরম্পরার মধ্যে, একটা সংকেত হিসাবে না। আর কতগুলি পৃষ্টা আছে যা আমি পছন্দ করি, ডিফারেন্স অ্যান্ড রিপিটেশন এ; সেইগুলি হচ্ছে অবসাদ আর গভীর চিন্তার, উদাহারণস্বরূপ, কারণ তারা জীবন্ত অভিজ্ঞতাকে প্রতিফলিত করে উপস্থিতিগুলি সত্বেও। তারা খুব বেশি দূর পর্যন্ত যায়নি, কিন্তু এটা ছিল একটা শুরু।

আর তখন ফেলিক্স গুট্টেরীর সাথে আমার দেখা হয়, আমরা নিজেদেরকে খুঁজে পাই এবং সর্ম্পূণ করি, অ-ব্যক্তিকীকরণ (
singularized) করি একে অন্যকে - সংক্ষেপে কিভাবে আমরা ভালবাসি। যা এন্টি-অডিপাস এ পরিণত হয়, যা একটা নতুন প্রগতিকে চিহ্নিত করে। আমি বিস্মিত, বইটার বৈরী স্বাগতমের আনুষ্ঠানিক কারণগুলির একটা কী এই যা মাঝে-মাঝে সামনা-সামনি আসে, সংক্ষেপে, যা হচ্ছে যে, আমরা একসাথে এটা বের করেছি, মানুষজনকে ঝগড়াগুলি এবং আরোপনগুলি থেকে বন্ঞিত করা, যা তারা ভালবাসে। সুতরাং, তারা জট খোলার চেষ্টা করে অবোধ্যতার (undiscernible) অথবা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে চায় যে, আমাদের মধ্যে কী আছে। কিন্তু যেহেতু প্রত্যেকে, আর প্রত্যেকের মতোই, হয়ে উঠে বহুবিধ, তা তৈরী হয় খুব অল্পকিছু লোকের জন্য। আর সন্দেহাতীতভাবে অ্যান্টি-অডিপাস কে বলা যাবে না যে এটা জ্ঞানের সমস্ত রকমের আনুষ্ঠানিক রীতির সংবেশন থেকে মুক্ত হতে পেরেছে: অবশ্যই এটা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ন্তভুক্ত, কারণ এটা এখনো যথেষ্ঠ রীতি-সম্মত, এবং এখনো “পপ” দর্শনকে বা “পপ” বিশ্লেষণকে প্রতিনিধিত্ব করে না, যার স্বপ্ন আমরা দেখি। কিন্তু আমি এটা দেখে অবাক হয়েছি: যারা এই বইটাকে কঠিন বলে মনে করেছে, তাদের প্রত্যেকেই ভালো শিক্ষিত, বিশেষ করে মনোবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে। তারা বলে: এইটা কী, দেহ ছাড়া অঙ্গ? বাসনার মেশিনগুলি বলতে তুমি কী বোঝাতে চাও? অন্যদিকে, যারা অল্প কিছু জানে, যারা মনোবিশ্লেষনের মাধ্যমে নষ্ট হয় নাই, তাদের সমস্যাটা কম এবং তারা যা বুঝে না তা একপাশে সরিয়ে রাখতে কিছু মনে করে না। এটাই আমাদের বলার কারণ যে, যারা এই বইটা সর্ম্পকে সচেতন হবে, অন্তঃত তাত্ত্বিকভাবে তাদের বয়স, পনের থেকে বিশের মধ্যে। একটা বই মূলত: দুইভাবে পড়া যায়: হয় আমরা এটাকে দেখবো একটা বক্স হিসাবে যা আমাদেরকে একটা অভ্যন্তরের দিকে নির্দেশ করে, আর এই ক্ষেত্রে আমরা একটা সিগনিফাইডকে খুঁজি; যদি এখনো আমরা আরো বেশি ন্যায়ভ্রষ্ট বা দুর্নীতিগ্রস্ত হই, আমরা সিগনিফায়ারকে খুঁজি। এবং এরপর আমরা এই বইটাকে মনে করি একটা বক্স হিসাবে যা প্রথম জিনিসটাকে ধারণ করে বা এটাকে তা ধারণ করে, অন্যভাবে। আর আমরা মন্তব্য করতে পারি, বিশ্লেষণ করতে পারি, এবং ব্যাখ্যাগুলির দাবি করতে পারি, আমরা বইটা সর্ম্পকে লিখতে পারি এবং এইরকম অন্তহীনভাবে। অথবা আরেকভাবে পড়তে পারি: আমরা বইটাকে দেখতে পারি একটা ছোট সিগনিফাইয়িং মেশিন হিসাবে; একমাত্র সমস্যাটা হচ্ছে যে, “এটা কী কাজ করে এবং কিভাবে কাজ করে? এটা কিভাবে তোমার জন্য কাজ করে?” এটা যদি কাজ না করে, যদি কোনকিছুই না ঘটে, তাহলে আরেকটা বই নাও। এই আরেকভাবে পড়াটা আসলে তীব্রতাগুলির উপর ভিত্তি করা: কোন একটা কিছু বা ঘটে না। এখানে কোনকিছু ব্যাখ্যা করার নাই, কোনকিছু বোঝার নাই, কোনকিছু ব্যাখ্যা করার নাই। এটাকে একটা বৈদুত্যিক সংযোগের সাথে তুলনা করা যায়। একটা দেহ ছাড়া অঙ্গগুলি: আমি জানি, অশিক্ষিত লোকেরা এটা সাথে সাথে বুঝতে পারে, তাদের “অভ্যাসগুলি” কে ধন্যবাদ। এই অন্যভাবে পড়াটা পূর্বগামীটার বিপক্ষে যায়, যেহেতু এটা তাৎক্ষণিকভাবে একটা বইকে বাহ্যিকতার দিকে নির্দেশ করে। একটা বই হচ্ছে অনেক জটিলতার ভিতর একটা ছোট খাঁজ, বাহ্যিক মেশিনারী। লেখালেখি হচ্ছে অন্যদের মধ্যে একটা প্রবাহ; এটা বিশেষ কোন সুবিধা ভোগ করে না এবং বর্তমান ও কাউন্টার-বর্তমানের সর্ম্পকগুলির মধ্যে প্রবেশ করে, পিছন-ধোয়ার সাথে অনান্য প্রবাহগুলির - গু, বীর্য, বক্তৃতা, কর্ম, যৌনকামনাউদ্রেগকারী, টাকা-পয়সা, রাজনীতি ইত্যাদির। ব্লুম এর মতো, এক হাতে বালির উপর লেখা আর এক হাতে হস্তমৈথুন করা - এই দুইটা প্রবাহের কী সর্ম্পক? আমাদের নিজস্ব বাহ্যিকতার জন্য (অন্তঃত আমাদের বাহ্যিকতার মধ্যে একটা)। এটা মানুষের একটা বড় গ্র“প (বিশেষ করে তরুণরা) যাদেরকে সাইকো অ্যানালাইসিস খাওয়ানো হয়েছে। তারা “কর্নারড”, তোমার কথা মতো, কারণ তারা অবিরাম পুনরাবৃত্তি করে, কম বা বেশি, বিশ্লেষিত হওয়ার জন্য। তারা এখনই সমালোচনা করে বিশ্লেষণকে, কিন্তু তারা সমালোচনা করে সাইকোঅ্যানালাইসিসের পরিভাষাগুলিতে। উদাহারণস্বরূপ, অন্তরের উল্লাসের একটা গোপন উৎস: কিভাবে ছেলেরা FHAR [Front Homosexuel d'Action Revolutionnaire] এ অংশ নেয়, মেয়েরা MLF [Mouvement de Liberation de la Femme] এ এবং আরো অন্যগুলিকে বিশ্লেষণ করা? এটা কী তাদেরকে ভাবিয়ে তোলে না? তারা এটা বিশ্বাস করে? তারা কৌচের উপর বসে পৃথিবীতে কী করছে? এই ধারাটার অস্তিত্ব এন্টি-অডিপাসকে সম্ভব করে তোলছে। আর যদি মনোচিকিৎসকরা, একদম বেকুব থেকে শুরু করে সবচেয়ে বুদ্ধিমান পর্যন্ত, এই বইটার অনেক অংশ সর্ম্পকে বৈরীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, তারা আক্রমণ করার চাইতে আত্মরক্ষমূলক হয়, তাদের প্রতিক্রিয়া বাস্তবিকভাবে শুধুমাত্র এই বিষয়ের একটা ফলাফল নয়, বরং এই ধারণার যা আরো বাড়বে, যার ফলশ্র“তিতে, মানুষ আরো বেশি বেশি খাবে যার ভিতর দিয়ে বলা হবে “পাপ্পা, মাম্মা, অডিপাস, নপুসংককরণ, প্রত্যাবর্তী” সর্ম্পকে এবং সাধারণে সঠিকভাবে যৌনতার নির্বোধ ইমেজের মধ্যে দিয়ে এবং বিশেষ করে নিজস্ব, যা তাদেরকে প্রস্তাব করা হয়। যেমনটা আমরা বলেছি, মনোচিকিৎসকদেরকে “জনগন” কে হিসেবের মধ্যে নিতে হয়, ছোট আকারের জনসাধারণকে। আমরা এই বিষয়ে সুন্দর সুন্দর চিঠি পেয়েছি, যা মনো-বিশ্লেষন এর একজন “লুম্পেন প্রলেতারিয়েত” পাঠিয়েছে, যা সমালোচনার প্রবন্ধগুলির চাইতে অনেকবেশি সুন্দর।

এভাবে গভীর পাঠ, বাহ্যিক-প্রবাহের বিরুদ্ধে প্রবাহের, মেশিনগুলির সাথে মেশিনগুলির, পরীক্ষনগুলির, সবার জন্যে ঘটনাগুলির সাপেক্ষে (যার আসলে একটা বইয়ের সাথে যোগাযোগ নেই, কিন্তু এর টুকরাগুলি আর অন্য জিনিসগুলির সাথে ক্রিয়াশীল থাকার জন্যে একটা নতুন পদ্ধতি, সেটা যা-ই হোক . . . ইত্যাদি) - ভালোবাসার একটা সুস্পষ্ট প্রকাশ। এটাই হচ্ছে সত্যিকার অর্থে পথ, যেভাবে তুমি বইটাকে পড়ো। আর তোমার চিঠির যে অংশটা আমার কাছে সুন্দর মনে হয়েছে, বলা যায় চমৎকার হয়েছে, সেটা হচ্ছে যেখানে তুমি ব্যাখ্যা করেছো যে, কিভাবে তুমি এটা পড়েছো, তোমার নিজের ক্ষেত্রে তুমি এটাকে কিভাবে ব্যবহার করেছো। হায়! হায়! কেন তোমাকে পরমুহুর্তে ফিরে আসতে হলো একটা নিন্দা করার মনোভাবে? “তুমি এটা দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে না। আমরা দ্বিতীয় খন্ডের জন্যে অপেক্ষা করছি; তুমি ঠিক আগের গতিপথে থেকে যাবে . . . । ” না, এটা মোটেই সত্যি না। আমাদের পরিকল্পনাগুলি আছে। আমরা লেগে থাকবো কারণ আমরা একসাথে কাজ করতে ভালোবাসি। কিন্তু এটা কখনোই একটা ধারাক্রম হবে না। বাইরের সাহায্য নিয়ে আমরা ভাষা এবং চিন্তা, উভয় ক্ষেত্রে এমন আলাদা একটা কিছু করবো যে, যারা আমাদের কাজ সর্ম্পকে ধারণা করতে চাচ্ছে, তারা বলবে যে: এরা পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে, অথবা এই দুইটা হচ্ছে একজোড়া বানচোত, অথবা এরা অবশ্যই চালিয়ে যেতে পারবে না। প্রতারণা এক ধরণের সুখ। এটা এমন না যে, আমরা তাদেরকে বিশ্বাস করাতে চাই যে, আমরা পাগল; আমরা পাগল হবো, যদিও আমাদের নিজেদের সময়ে এবং আমাদের নিজেদের মতো করে। মানুষের এত তাড়া কিসের? আমরা জানি যে, এন্টি-অডিপাস এর প্রথম খন্ডের এখনো অনেক আপোস আছে - অনেক পান্ডিত্যপূর্ণ ব্যাপার আছে, যা এখনো ধারণাগুলির মতো মনে হয়। সুতরাং, আমরা এইগুলি পরিবর্তন করবো, আমরা এর মধ্যেই পরিবর্তন করেছি; আমরা ঠিকমতোই করছি। কিছু মানুষ মনে করে যে, আমরা একই পুরনো পথে থাকতে বাধ্য। আমরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি, পন্ঞম সাইকোঅ্যানালাইটিক্যাল গ্র“পের কাছ থেকে। দুঃখ, আমাদের জন্য। আমরা আরো অন্য কিছুর স্বপ্ন দেখি, আরো গোপন এবং আরো আনন্দকর কিছুর। আমরা আর কখনোই আপোস করবো না, কারণ আমরা জানি, এইটা জরুরী হবে না। আর আমরা সবসময় মিত্রদেরকে খুঁজে পাবো, আমরা যাদেরকে চাই অথবা যারা আমাদেরকে চায়।

তোমার দলের জন্য, তুমি এখনো ব্যস্ত ক্রুদ্ধতায়, প্রকাশনায়, প্রশ্নপত্রগুলি তৈরী করাতে, জনগনকে স্বীকারোক্তি আদায় করাতে (“স্বীকার কর, স্বীকার কর . . .”)। কেন আমরা তা করবো? আমি যা ধারণা করি তা এর সর্ম্পূণ বিপরীত: গুপ্ততার একটা কাল, অর্ধেকটা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত, অর্ধেকটা বাধ্যতামূলক, যা নতুন জন্ম নেয়া বাসনাকে আশ্রয় দেবে, বিশেষ করে, রাজনীতিতে। তুমি আমাকে পেশাগতভাবে কর্নারড দেখতে চাও, কারণ আমি ভিনসেন্স এর ফ্যাকাল্টিতে পড়াচ্ছি গত দুই বছর ধরে এবং তারা বলে, তুমি বলো যে, আমি সেখানে আর কোন কাজ করছি না। তুমি মনে করো যে, আমি যা বলছি তার সবকিছুই পরস্পরবিরোধী, “অধ্যাপকের পদকে অস্বীকার করা, কিন্তু শেখানোকে নিন্দা করা, নিয়মিত কাজ করা, যখন সবাই এটাকে বাদ দিতে চাইছে।” আমি পরস্পরবিরোধিতার নিয়ে চিন্তিত নই, আর আমি একজন নীতিবান লোক নই যে এর শর্তের ট্রাজেডীর ভিতর বসবাস করে: আমি কথা বলি কারণ এটা তা-ই, যা আমি করতে চাই। আমাকে সাহায্য করা হয়েছে, অপমান করা হয়েছে, অবরুদ্ধ করা হয়েছে জঙ্গী, ভুয়া পাগল, আসল পাগল, বোকা, খুব বুদ্ধিমান লোকদের দিয়ে; ভিনসেন্স এ এটা ছিল আনোন্দচ্ছল মজার। এটা দুই বছর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। যথেষ্ঠ হয়েছে, জিনিসগুলির পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন . . .

এইভাবে আমার “স্বীকার” করার কিছু নাই। এন্টি-অডিপাস এর সাফল্য নিয়ে ফেলিক্স বা আমার কিছু করার নেই। একভাবে বলতে গেলে, এটা আমাদের সাথে সর্ম্পকিত কিছু না, যেহেতু আমরা অনান্য প্রকল্পগুলি নিয়ে ব্যস্ত। সুতরাং আমাকে তোমার সমালোচনা থেকে মুখ ফিরাই, যা কর্কশ আর আরো বেশি হাতাশার। তুমি যা বলেছো তা হচ্ছে আমি সবসময় পিছনে পড়ে যাচ্ছি, আমার শক্তি খরচ করছি, অন্যদের পরীক্ষাগুলির সুবিধাটা নিচ্ছি - সমকামী, মাদকাসক্ত, মাতাল, মর্ষকামী, পাগল, ইত্যাদির - অস্পষ্টভাবে তাদের আনন্দগুলির থেকে এবং তাদের বিষগুলির থেকে নমুনা নিচ্ছি, এদের একটারও অভিজ্ঞতা না নিয়ে। তুমি আমার বিরুদ্ধে আমার একটা লিখার কথা বলতে পারো যেখানে আমি বলেছি কিভাবে একজন আর্টারড এর উপর একজন পেশাদার লেকচারার হওয়া এড়াতে, ফিজগেরাল্ড এর উপর একজন বৈশ্বিক অ্যামেচার হতে পারে। কিন্তু তুমি আমার সর্ম্পকে কী জানো যখন একবার বলা হয় যে, আমি গোপনীয়তায় বিশ্বাস করি - মিথ্যাভাষণ এর ক্ষমতায়, বরং এইরকম একটা বিবরণের চাইতে যা শুদ্ধতার এবং সত্যের একটা মনস্তাপের বিশ্বাসের সাক্ষী নিয়ে আসে? যদি আমি সরে না আসি, যদি আমি ভ্রমন না করি, আমি গতিহীন যাত্রাগুলি করি যেমনটা অন্যরা করে থাকে, এবং আমি তাদেরকে মাপতে পারি শুধুমাত্র আমার আবেগগুলি দিয়ে, প্রকাশ করতে পারি সবচেয়ে তীর্যক এবং গতি পাল্টে দেয়া পথে, যেভাবে আমি লিখি। আর সমকামী, মাতাল বা মাদকাসক্তদের সাথে আমার সর্ম্পক নিয়ে কে মাথা ঘামায়, যদি আমি একই তাদের মত একই ফলাফলে পৌঁছতে পারি, অন্য কোন উপায়ে?

সমস্যাটা আসলে মানুষ হিসাবে এইটা বা ওইটা হওয়া না, বরং একজন মানব হয়ে উঠার ব্যাপার, একজন সর্বজনীন জীব হয়ে উঠার: একজনের নিজেকে পশু হিসাবে না নেয়া, বরং শরীরের মানবীয় সংগঠনকে আলগা করার, শরীরের নিবিড়তাকে এইরকম এবং এইরকম অংশে কেটে দেয়া, আমাদের প্রত্যেকে আবিষ্কার করতে পারি যে, কোন অংশটা সত্যিকারভাবে তার, আর এই গ্র“পগুলি, এই জনগন, এই প্রজাতিগুলি যারা তার অধিবাসী। কেন আমি মেডিসিন বিষয়ে বলবো না একজন ডাক্তার না হয়েও, যদি আমি কুকুর হিসাবে এই সর্ম্পকে বলি? কেন আমি ড্রাগ নিয়ে বলবো না ড্রাগ না ব্যবহার করে, যদি আমি এই সর্ম্পকে একটা ছোট্ট পাখি হিসাবে বলি? এবং কেন আমি কোনকিছুর উপর বক্তৃতা দিবো না, যদিও এই বক্তৃতা হয় সর্ম্পূণভাবে অবাস্তব এবং বানানো, আর এটা দেয়ার প্রমাণপত্র কেউ না চাইলে? ড্রাগ অনেকসময় প্রলাপের কারণ হয়। কেন আমি ড্রাগের বিষয়ে ক্ষেপবো না? তুমি তোমার নিজস্ব “বাস্তবতা” দিয়ে কী করতে পারো? তোমার বাস্তবতা নির্বোধ। আর তারপর, কেন তুমি আমাকে পড়ো? সর্তক পরীক্ষামূলকের ক্ষেত্রে তোমার বিচার অকেজো, প্রতিক্রিয়াশীল একটা ব্যাপার। এন্টি-অডিপাস থেকে যে বাক্যটা আমি প্রেফার করবো, তা হচ্ছে: না, আমরা কখনো সিজ্রোফেনিয়াদের দেখি নাই . . . .

______________________________________________________
বাংলা অনুবাদের নোট:

মিশেল কোরসেল দেল্যুজ নামে একটা বই লিখেন ১৯৭৩ সালে। দেল্যুজের এই লিখাটা তার একটা প্রতিক্রিয়া। প্রথম ছাপা হয়েছিল লা কুইজনি লিটারারি নামে একটা পত্রিকাতে (এপ্রিল ১-১৫, ১৯৭৩) পৃষ্টা ১৭-১৯. [এর খানিকটা বর্ধিতরূপ কোরসেল এর দেল্যুজ বইয়ের সংযোজন হিসাবে “মিশেল কেরসোল প্রতি একটা চিঠি” নামে ছাপা হয়। মিশেল কোরসেল এর বইটা এডিশনস ইউনিভার্সিটিজ ফ্রান্সে প্রকাশ করেছিল ১৯৭৩ সালে। ফরাসী থেকে ইংরেজীতে অনুবাদটা করেছেন জেনিস ফোরমেন, যা
Semiotext২.৩ , ১৯৭৭; পৃষ্টা ১১১-১১৬ তে ছাপা হয় [এন্টি-অডিপাস সংখ্যা তে]। বাংলা ভাষান্তরের ক্ষেত্রে এর ইন্টারনেট সংস্করণের ইংরেজীটা নেয়া হয়েছে।

আমার মনে হৈছে, দেল্যুজ সর্ম্পকে জানার ক্ষেত্রে বা আগ্রহ এর ভালো একটা রচনা এইটা। এইখানে তার কাজকর্ম সর্ম্পকে তার নিজস্ব একটা বয়ান আছে, যা একইসাথে পরিচিতিমূলক ও তার ভাবনার একটা ক্রম। দেল্যুজ সর্ম্পকে একটা ধারণা হয়তো এই লিখা থেকে পাওয়া যাবে। লিখাটা থেকে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় যে, দেল্যুজ একজন দার্শনিক এবং তার কাজ-কর্মগুলি দর্শন ও দার্শনিকদেরকে নিয়াই।

বাংলা অনুবাদটা ২০০৬ খ্রীষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে ওয়েব গ্র“প মানুষ নেটওর্য়াকে এবং ওয়েব পত্রিকা বাসভূমিতে ২০০৬ খ্রীষ্টাব্দের ঈদসংখ্যায় প্রচারিত হয়।

No comments: