Friday, May 16, 2008

সিলভিয়া প−াথ এর একটি সাক্ষাৎকার, পিটার অর-এর সাথে [১৯৬২]

সিলভিয়া প−াথ এর একটি সাক্ষাৎকার, পিটার অর-এর সাথে [১৯৬২]

[সিলভিয়া প−াথের জন্ম বোস্টনে। ১৯৩২ সালে। তিনি জার্মান ও অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত। গ্রাজুয়েশন করেছিলেন
Massachusettsএর স্মিথ কলেজ থেকে, ১৯৫৬ তে। আর ১৯৫৭ তে ইংল্যান্ডে, কেম্রবীজে ফুলব্রাইট স্কলারশীপ নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি স্মিথ কলেজে লেকচারার হিসাবে যোগ দেন। ১৯৬০ এ ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন স্থায়ীভাবে থাকার জন্য। এবং ১৯৬৩ তে মারা যান। তার দুই ছেলেমেয়ে ছিল।
তার প্রথম কবিতার বই
The Colossus বের হয় ১৯৬১ তে। তার উপন্যাস The Bell jar ১৯৬৩ এর জানুয়ারীতে ছদ্মনামে বের হয়। তার শেষদিকের কবিতা Ariel প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ তে।]

অর: সিলভিয়া, কোন বিষয়টা তোমাকে কবিতা লিখতে শুরু করিয়েছে?

প−াথ: আমি জানি না কী আমাকে শুরু করিয়েছে, আমি আসলে এটা লিখতে শুরু করি যখন আমি খুব ছোট। আমার মনে হয়, নার্সারি রাইমসগুলি আমি খুব পছন্দ করতাম আর মনে হয় ভাবতাম যে, আমিও হয়ত এরকম লিখতে পারি। আমি প্রথম কবিতা লিখি, যেটা প্রথম ছাপা হয় তখন আমার বয়স সাড়ে আট বছর। সেটা দি বোস্টন ট্রাভেলার -এ বের হয়েছিল আর তারপর থেকেই আমার মনে হয়, আমি একটু প্রফেশনাল।

অর: তুমি কোন জিনিসগুলি নিয়ে লিখতে, যখন তুমি শুরু করেছিলে?

প−াথ: প্রকৃতি, আমার মনে পড়ে: পাখি, মোমাছি, বসন্ত, ঝর্ণা - এইসব বিষয়গুলি, যা অনিঃশেষ উপহার একজন মানুষের প্রতি, যার নিজস্ব কোন অভিজ্ঞতা নেই লিখবার জন্য। আমার মনে পড়ে, বসন্তের শুরু হওয়া, মাথার ওপরে তারাগুলি, প্রথম তুষারপাত আরও অনেককিছু যা একটা শিশুর কাছে, একজন নবীন কবির কাছে উপহারের মত।

অর: এখন, এতগুলি বছর পার হয়ে, তুমি কি বলতে পার, এখানে এমন কোন বিষয় কি আছে, যা তোমাকে কবি হিসাবে আর্কষণ করে, এমন কোন জিনিস যা নিয়ে তুমি লিখতে পছন্দ করবে?

প−াথ: হয়ত এটা একটা আমেরিকান বিষয়: আমি খুব উত্তেজিত বোধ করি, যখন আমি অনুভব করি যে, এটা নতুন কোন কিছু যা তৈরী হয়েছে, বলা যায়, জড়নবৎঃ খড়বিষষ এর খরভব ঝঃঁফরবং, এটা প্রচন্ড নতুন একটা জিনিস, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, খুবই ব্যক্তিগত, আবেগ কাতর অভিজ্ঞতা, যা আমার মনে হয়, অনেকটাই ট্যাবু। উদাহারণ হিসাবে বলা যায়, রবার্ট লওয়েল এর মানসিক হাসপাতালে তার অভিজ্ঞতা বিষয়ে কবিতাগুলি আমাকে আগ্রহী করে। এই অদ্ভুত, ব্যক্তিগত আর ট্যাবু বিষয়গুলি, আমার মনে হয়, সাম্প্রতিক আমেরিকান কবিতায় এক্সপে−ার হচ্ছে। আমি বিশেষভাবে চিন্তা করি, মহিলা কবি অহহ ঝবীঃড়হ এর কথা, যে মা হিসাবে তার অভিজ্ঞতাগুলির কথা লিখেছে, মা হিসাবে যার একটা নার্ভাস ব্রেক ডাউন হয়েছিল, যা খুবই আবেগ কাতর এবং একজন তরুণীর অনুভূতি । আর তার কবিতাগুলি চমৎকারভাবে μাফটম্যানসশীপের কবিতা এবং যদিও তাদের একধরণের আবেগ আর মানসিক গভীরতা আছে যা আমার মনে হয়, অনেকটাই নতুন, অনেকটাই উত্তেজনার।

অর: এখন তুমি, একজন কবি হিসাবে, একজন মানুষ হিসাবে যার এক পা আটলান্টিকের এক দিকে আর অন্য পা অন্যদিকে - যদি আমি এইভাবে দেখি, একজন আমেরিকান হিসাবে...

প−াথ: এটা হয়ত একটা বিব্রতকর অবস্থান, কিন্তু আমি এটা স্বীকার করব!

অর: ... কোন দিকে তোমার অবস্থানটা বেশি যাবে, যদি আমি রূপক অর্থেও বলতে চাই?

প−াথ: আচ্ছা, আমি যদি ভাষার কথা বলি, তাহলে আমি আমেরিকান, আমি ভীত যে, আমার উচ্চারণ আমেরিকান, আমার কথা বলার ধরণ আমেরিকানদের মত, আমি একজন পুরানো ধরণের আমেরিকান। এটা সম্ভবত একটা কারণ যে জন্য এখন আমি ইংল্যান্ডে এবং সবসময় ইংল্যান্ডে থাকব। যতদূর পর্যন্ত আমার আগ্রহ যায়, আমি ৫০ বছর পেছনে আছি, আমি অবশ্যই বলব যে যেসব কবি আমাকে আগ্রহী করে তাদের অধিকাংশই আমেরিকান। খুব কম সমসাময়িক ইংরেজ কবিই আছেন যাদের কবিতা আমি পছন্দ করি।

অর: এটা কি ইঙ্গিত করে যে, বর্তমান সময়ের ইংরেজ কবিরা আমেরিকানদের চাইতে পিছিয়ে?

প−াথ: না, আমার মনে হয় এটা একটু জটিল, যদি আমি এটা বলেও থাকি। ব্রিটিশ সমালোচক অষাধৎবু একটা প্রবন্ধ ছিল: ইংল্যান্ডে ভদ্রতার বিপত্তি সর্ম্পকে তার যুক্তিগুলি খুবই মানানসই, খুবই সত্যি। আমি অবশ্যই বলব যে, আমি খুব ভদ্র নই আর আমি এটা মনে করি যে, ভদ্রতার একটা ভয়ানক জিনিস আছে - পরিচ্ছন্নতা, চমৎকার কমনীয়তা, যা ইংল্যান্ডের সর্বত্র এতবেশি দেখা যায় যে, সম্ভবতঃ এটা অনেকবেশি ভয়ানক বাস্তবে যা দেখায়, তার চাইতে।

অর: কিন্তু তুমি কি এটাও মনে কর না যে, ইংলিশ কবিদের যে কাজ তা তাদের ওপর চাপানো একটা ভারের ভিতর দিয়ে করতে হচ্ছে, যাকে মোটা দাগে ‘ইংশিল লিটারেচার’ বলা হচ্ছে?

প−াথ: হ্যাঁ, এর চাইতে বেশি আমি একমত হতে পারি না। আমি জানি যখন আমি কেম্রবীজে ছিলাম, তখন আমার সাথে কি হয়েছিল। একজন তরুণী আসত আমার কাছে আর বলত ‘কি করে তুমি সাহস কর লেখালেখি করার, আর তা ছাপানোর, একটা লেখা ছাপানো হলে যে সমালোচনা, ভয়ানক সমালোচনা করা হয়, তারপরও?’ আর সমালোচনাটা কখনই ঐ কবিতাটার সমালোচনা না। আমার মনে পড়ে একবার আমি অবাক হয়েছিলাম, যখন কেউ একজন আমাকে সমালোচনা করল জন ডানের মত শুরু করার জন্য কিস্তু জন ডানের মত শেষ না করতে পারার জন্য, আর প্রথমবারের মত ঐ মুহূর্তে সমস্ত ইংরেজী সাহিত্যের ভার আমি আমার ওপর অনুভব করলাম। আমি মনে করি, যে সম্পূর্ণ গুরুত্ব দেয়া হয় ইংল্যান্ডে, এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে, বাস্তব সমালোচনার ওপর (কিন্তু ঐতিহাসিক সমালোচনার ওপর এতটা না, এটা জেনে যে, কোন সমযে এটা লেখা হচ্ছে) তা অনেকটা অবশ করে দেয়ার মত। আমেরিকাতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আমরা কী পড়ি? - টি.এস. এলিয়ট, ডিলান টমাস, ইয়েটস; এখান থেকেই আমরা শুরু করি। শেকসপীয়র থাকেন বেকগ্রাউন্ডে।

আমি নিশ্চিত নই আমি এর সাথে একমত হব কিনা, কিন্তু আমি মনে করি এতসব কারণে একজন নতুন কবি’র পক্ষে, যে কবিতা লিখছে, আমেরিকাতে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া এতটা ভীতিকর না যতটা ইংল্যান্ডে।

অর: সিলভিয়া, তুমি বলছ যে, তুমি নিজেকে একজন আমেরিকান মনে কর, কিন্তু যখন তুমি ‘ফধফফু’র মত একটা কবিতা পড় যা বলে উধপযধঁ, অঁংপযরিঃু আর সবরহ কধসঢ়ভ এর কথা; আমার এমন একটা ধারণা আছে যে, এই ধরণের কবিতা একজন সত্যিকারের আমেরিকান লিখতে পারে না, কারণ এটা খুব বেশি কিছু বোঝায় না, এই নামগুলি হয়ত আটলান্টিকের ঐপারে খুব বেশি কিছু বলে না, তাই কি?

প−াথ: আচ্ছা, এখন তুমি আমাকে একজন সাধারণ আমেরিকান ধরে নিয়ে বলছ। ঠিক করে বলতে গেলে, আমার পূর্বপুরুষ, আমি বলতে পারি, জার্মান আর অস্ট্রিয়ান। একদিক দিয়ে দেখতে গেলে আমি প্রথম প্রজন্মের আমেরিকান, আর অন্যদিক দিয়ে দেখতে গেলে আমি দ্বিতীয় প্রজন্মের আমেরিকান আর তাই কনসানট্রেশন ক্যাম্পগুলি ও অনান্য ক্ষেত্রে আমার আগ্রহ অনন্যভাবে তীব্র। আর তারপর আবার আমি নিজেকে রাজনৈতিকভাবেও দেখি, যা আমি মনে করি এখান থেকেও একটা অংশ এসেছে।

অর: আর একজন কবি হিসাবে, তোমার কি ইতিহাস সর্ম্পকে মহৎ ও তীক্ষ্ম ধারণা আছে?

প−াথ: আমি ইতিহাসবিদ নই, কিন্তু ইদানিং ইতিহাসের প্রতি মুগ্ধতা আরো বাড়ছে আর এখন আমি নিজেকে দেখছি আরো বেশি ইতিহাস সর্ম্পকে পড়তে। বর্তমানে আমি নেপোলিয়ন বিষয়ে খুবই আগ্রহী : আমি খুবই আগ্রহী লড়াই আর যুদ্ধ সর্ম্পকে; এধষষরঢ়ড়ষ আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আর এইরকম বিষয়ে; আর আমার মনে হচ্ছে, এই বয়সে আমি অনেকবেশি ইতিহাস সচেতন। আমার প্রথম বিশে - আমি কখনই এরকম ছিলাম না।

অর: তোমার কবিতাগুলি’র কি বইয়ের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসার প্রবণতা থাকে, তোমার নিজস্ব জীবনের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসার চাইতে?

প−াথ: না, না, আমি এটাকে এইভাবে কখনই বলব না। আমি মনে করি, আমার কবিতাগুলি তাৎক্ষণিকভাবে বেরিয়ে আসে উপলদ্ধি আর আবেগের অভিজ্ঞতাগুলি থেকে, যা আমার আছে; কিন্তু আমি অবশ্যই বলব যে, এইসব কান্না আমি সহানুভূতির সাথে হৃদয় থেকে বের করতে পারি না, সুই অথবা ছুরি অথবা এমন একটা কিছু ছাড়া। আমি বিশ্বাস করি, একজনের অবশ্যই ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন অভিজ্ঞতাকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করার, সেটা যত ভয়াবহই হোক না কেন, পাগল হওয়ার মত বা অত্যাচারিত হওয়ার মত - এরকম অভিজ্ঞতা আর এইসব অভিজ্ঞতাকে একজনের পরিচালিত করা প্রয়োজন সুগঠিত এবং বুদ্ধিমত্তার ছোট আকৃতিতে, আমার মনে হয় সেই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাটা খুবই জরুরী, কিন্তু এটা অবশ্যই কোন বদ্ধ-বাক্স বা নিজেকে আযনায় দেখার নার্সিসিজম-এর মত কোনো ব্যাপার না। আমি বিশ্বাস করি, এটা অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে, বৃহত্তর অর্থগুলির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হতে হবে, বড় বিষয়গুলি, যেমন ঐরৎড়ংযরসধ বা উধপযধঁ বা এইরকম কোনো কিছুর ক্ষেত্রে।

অর: আর তাই, এই আদি, আবেগী প্রতিμিয়ার পিছনে নিশ্চয় কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক শৃঙ্খলা থাকবে।

প−াথ: এটা খুব গভীরভাবে অনুভব করি, একাডেমিক হবার কারণে, পিএইচডি ডিগ্রী’র জন্য থেকে যাবার আমন্ত্রণের প্রলোভনের জন্যে, একজন প্রফেসর হওয়ার কারণে- এইসব কিছুর জন্যে, আমার একটা দিক অবশ্যই সব ডিসিপি−নকে শ্রদ্ধা করে, যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা অনঢ় হয়ে ওঠে।

অর: যেসব লেখকরা তোমাকে প্রভাবিত করেছে, তাদের সর্ম্পকে তুমি কি বলবে? কে তোমার কাছে অনেক বেশি অর্থপূর্ণ?

প−াথ: এমন খুব অল্প কজনই আছেন। তাদের সত্যিকারভাবে খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। যখন আমি কলেজে ছিলাম আধুনিকদের দ্বারা হতবিহ্বল আর অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম, ডিলান টমাস, ইয়েটস, অডেন দ্বারা, এমনকি একটা সময়ে আমি অডেনের জন্য সম্পূর্ণভাবে পাগল ছিলাম আর আমি যা লিখতাম তা ছিল মারাত্কভাবে অডেনীয়। এখন আমি আবার পিছনের দিকে ফিরে গেছি, উদাহরণস্বরুপ, আমি বে−ক-এর দিকে দেখছি। আর তারপর, এটা খুব উদ্ধত্যের সাথে বলা যায় যে, কেউ একজন শেকসপীয়র দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে যেমন: একজন শেকসপীয়র পড়ল আর এটা তা-ই।

অর: সিলভিয়া, কেউ খেয়াল করবে যে, তোমার কবিতা পড়তে গেলে এবং শুনতে গেলে দুই রকমের শোনায়, যা খুবই দ্রুত আর স্পষ্টভাবেই মনে হয়; যার একটা সহজবোধ্যতা (আর আমার মনে হয় এই দুইটা রকমেরই একটার আরেকটার সাথে সর্ম্পক আছে) তাদের সহজবোধ্যতা আর তারা যে প্রভাব ফেলে পড়া হলে। তো, তুমি কি সচেতনভাবে তোমার কবিতাকে গড়ে তোল একই সাথে স্বচ্ছ এবং বাস্তবিক করে, যখন তাদের শব্দ করে পড়া হয়?

প−াথ: এটা এমন একটা কিছু যা আমি আমার প্রথম কবিতাগুলির ক্ষেত্রে করিনি। উদাহারণস্বরুপ আমার প্রথম বই ঞযব ঈড়ষড়ংংঁং, এর কোন কবিতাই এখন আমি শব্দ করে পড়তে পারি না। আমি এগুলিকে শব্দ করে পড়ার মত করে লিখিনি। তারা, সত্যিকারভাবে, খুব ব্যক্তিগতভাবে, আমাকে ক্লান্ত করে। যেগুলি আমি এখন পড়ছি, যেগুলি খুবই নতুন, আমি তাদের সর্ম্পকে বলতে পারি, আমি নিজের কাছে তাদের উচ্চস্বরে বলতে পারি, আর আমি মনে করি যে, এটা আমার নিজের লেখার ক্ষেত্রে একটা অগ্রগতি, আমার কাছে একটা নতুন বিষয়। আর যেটা সহজবোধ্য, সেটা সম্ভবতঃ এমন একটা জায়গা থেকে এসেছে যেখানে আমি তাদেরকে আমার নিজের কাছে বলি, আমি উচ্চস্বরে বলি।

অর: তুমি কি মনে কর, এটা একটা ভালো কবিতার জন্য অত্যাবশকীয় একটা অংশ, যে কবিতাটা আবৃত্তি করা যাবে?

প−াথ: আচ্ছা , আমি এটা এখন অনুভব করি আর মনে করি যে, এটা কবিতা রের্কড করার ক্ষেত্রে একটা অগ্রগতি, পড়ার সময় কবিতাটা আবৃত্তি করতে পারা; কবিদের নিজস্ব রের্কড থাকা আমি মনে করি চমৎকার একটা বিষয়। আমি এটা নিয়ে খুবই উত্তেজিত। একদিক দিয়ে এটা একরকম ফিরে আসা পুরানো কবিদের অবস্থানে, যখন একদল মানুষের মাঝে কবিতা পড়া হত।

অর: অথবা একদল মানুষের মাঝে যখন কবিতা গাওয়া হত?

প−াথ: একদল মানুষের মাঝে গাওয়া হত, ঠিক তাই।

অর: কবিতাকে একটু সময়ের জন্যে সরিয়ে রেখে বলি, আরও অন্য কোন কিছু কি তুমি লেখ বা লিখেছো?

প−াথ: আচ্ছা, আমি সবসময় গদ্যের বিষয়ে আগ্রহী। কিশোর বয়সে আমি ছোট গল্প ছাপিয়েছিলাম। আর সবসময় চাইতাম বড় গল্প লিখতে, আমি চাইতাম একটা উপন্যাস লিখতে। এখন আমি যেটা অর্জন করেছি, আমি বলব একটা পরিণত বয়সে এবং যখন অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমি আরো বেশি আগ্রহ বোধ করি গদ্যের বিষয়ে, উপন্যাসের ক্ষেত্রে। আমি অনুভব করি, একটা উপন্যাসে, উদাহারণস্বরূপ, আপনি টুথব্রাশের ভিতর ঢুকতে পারেন এবং এর সব কলকব্জা যা একজন প্রতিদিনকার জীবনে পায় তা দেখাতে পারে আর কবিতার ক্ষেত্রে বিষয়টা অনেক কঠিন। কবিতা, আমি অনুভব করি, একটা নির্মম শৃংখলা, আপনাকে অনেকদূর যেতে হবে, এত দ্রুত, এমন একটা ছোট্র জায়গার মধ্যে যে, আপনি শুধুমাত্র সমস্ত সীমাবদ্ধতাকে অগ্রাহ্য করতে পারেন। আর আমি তাদের হারিয়ে ফেলি! আমি একজন নারী, আমার ছোট খধৎবং আর চবহধঃবং এর মত, একটা তুচ্ছ জিনিসের মত আর আমি দেখি যে, একটা উপন্যাসে আমি জীবনের অনেকটাই পাই, হয়ত এমন তীব্র জীবন নয়, কিস্তু অবশ্যই জীবনের অনেকটুকুই আর তাই এর ফলে আমি উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে অনেক বেশি আগ্রহী।

অর: এটা অনেকটা ডঃ জনসনের মত দৃষ্টিভঙ্গি, তাই না? যেটা তিনি বলেছিলেন ‘এমন কিছু বিষয় আছে, যা কবিতায় অর্ন্তভুক্ত হওয়ার মত আর অন্য অনেককিছুই নয়’?

প−াথ: আচ্ছা, একজন কবি হিসাবে আমি অবশ্যই বলব পুরুষ সমকামী! আমি বলব যে সবকিছুই কবিতার ভিতর আসতে পারে, কিন্তু আমি কখনই পারি না টুথব্রাশগুলিকে একটা কবিতায় আনতে, আমি সত্যিই পারি না!

অর: তুমি কি অন্য লেখক, কবিদের সান্নিধ্যে নিজের বেশিরভাগ সময় কাটাও ?

প−াথ: আমি ডাক্তার, ধাত্রী, আইনজীবি অথবা অন্য যে কাউকেই পছন্দ করি লেখকদের চাইতে। আমি মনে করি লেখক-শিল্পীরা হচ্ছেন সবচেয়ে নার্সিসাস লোক। আমার অবশ্য এটা বলা উচিত না, আমি তাদের অনেককেই পছন্দ করি। এমন কি আমার অনেক বন্ধুরাই লেখক ও শিল্পী। কিন্তু আমি অবশ্যই বলব যে, আমি তাদেরকেই পছন্দ করি, যারা কোনো একটা বাস্তব বিষয়ে দক্ষ এবং আমাকে কিছু শেখাতে পারেন। আমি বলতে চাচ্ছি, আমার ধাত্রী আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে মৌমাছি পালতে হয়। যদিও সে আমার লেখার কিছুই বুঝতে পারে না। আর আমি নিজের ক্ষেত্রে দেখি যে, অনেক কবিদের চাইতে আমি তাকে বেশি পছন্দ করি। আমি আমার বন্ধুদের মধ্যে এমন মানুষদের দেখি যিনি নৌকা সর্ম্পকে সবকিছুই জানেন অথবা একটা খেলার সবকিছুই জানেন অথবা জানেন কীভাবে একজনকে/ একটা শরীর কেটে খুলতে হয় অথবা একটা অঙ্গ কিভাবে কাটতে হয়। এই বাস্তব জ্ঞানের দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করে। একজন কবি হিসাবে যে কেউ একটু হাওয়ায় ভাসে। আমি সবসময় এমন কাউকে পছন্দ করি, যে আমাকে বাস্তব কিছু শেখাতে পারে।

অর: অন্য এমন কোনো কিছু কি আছে কবিতা লেখার বাইরে যা তুমি করতে চাইতে? কারণ এটা অবশ্যই এমন একটা কিছু যা বাস্তব জীবনের অনেক কিছুই নিয়ে নেয়, যদি কেউ সফলতা লাভ করতে পারে। তোমার মনে কি কোনো জমানো আক্ষেপ আছে, এমন কোনো কিছু না করার জন্য?

প−াথ: আমার মনে হয় আমি যদি অন্য কোনো কিছু করতে চাইতাম, তাহলে ডাক্তার হতে চাইতাম। আমার মনে হয়, এটা হয়ত একজন লেখক হওয়ার সবচেয়ে বিপরীত একটা কিছু। আমি যখন তরুণ ছিলাম তখন আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাই ছিল ডাক্তার। আমি সাদা জালের টুপি পড়ে রাউন্ডে যেতাম, দেখতাম শিশুরা জন্ম নিচ্ছে, শবগুলির ব্যবচ্ছেদ করা হচ্ছে। এটা আমাকে মুগ্ধ করত, কিন্তু আমি নিজেকে কখনই গোছাতে পারিনি, নিজেকে ঐ একটা জায়গায় নিয়ে আসতে পারিনি, য়েখানে আমি সেই সমস্ত কিছু শিখতে পারবো যা একজন ভাল ডাক্তার হতে হলে জানতে হয়। এটা সেই বৈপরীত্য - যে মানুষের অভিজ্ঞতাগুলি নিয়ে সরাসরি কাজ করে, তাকে সারিয়ে তোলে, শারীরিক অবস্থার উনড়বতি করে, সাহায্য করে, এইরকম একটা বিষয়। আমার মনে হয়, আমার যদি কোনো নস্টালজিয়া থাকে, এটা তাই। কিন্তু আমি নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দিই যে, আমি অনেক ডাক্তারদের চিনি। আর আমি হয়ত এটাও বলতে পারি যে, একজন ডাক্তার হওয়ার চাইতে, ডাক্তারদের নিয়ে লিখতে পেরে আমি আরো বেশি খুশি।

অর: কিন্তু মূলতঃ এই ব্যাপারটা, কবিতা লেখাটা, তোমার জীবনে নিশ্চয় একটা গভীর পরিতৃপ্তির একটা বিষয়, তাই না?

প−াথ: আহ, পরিতৃপ্তি! আমি মনে করি না এটা ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো। এটা আমার কাছে রুটি-পানির মত অথবা এমন কিছু যা আমার জন্য নিঃশর্তভাবে প্রয়োজনীয়। আমি পরিপূর্ণভাবে তৃপ্তি পাই যখন একটা কবিতা

লিখতে পারি, যখন আমি লিখছি। একটা কবিতা লেখার পর একজন খুব দ্রুত কবি হওয়া থেকে সরে যেতে থাকে; কবিতা লেখার সময় আর বাকি সময়টাতে কবি থাকা মোটেও একই ব্যাপার নয়। কিন্তু আমার মনে হয় একটা কবিতা লেখার আসল অভিজ্ঞতা চমৎকার একটা অনুভূতি।

৩০ অক্টোবর, ১৯৬২

No comments: